মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধিঃ

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৬ নং আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জেরিন শায়লা ডানা মানছেননা প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার নির্দেশ।অকোতুভয় হয়ে বেপরোয়ায় করছে অনিয়ম ও দুর্নীতি।
তার অনিয়ম ও দুর্নীতির জাতা কলে পৃষ্ট আদ্রা ইউনিয়নের সেবা গ্রহীতা ও সাধারণ জনগণ। আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদে তিন মাস আগে যোগদান করেই শুরু করেন অনিয়ম। ব্যাগডেটে যোগদান করেন এবং অফিসে না এসেই ১০- ১৫ দিনের স্বাক্ষর করেন। হাজির থাকেন না কোন প্রকার ভিজিডি, ভিজিএফ,রেশনকার্ড ও অন্যান্য সহায়তার প্রদান/ বিতরণ কালীন সময়। সপ্তাহে ২/৩ অফিস করেন তাও ১১/১.৩০ মিনিট পর্যন্ত। নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স আর ট্যাক্স এর টাকা বুঝে নিয়েই বিদায়। সচিবের নির্দেশ মোতাবেক কোন প্রকার রশিদ/ ভাউচার ছাড়া নিবন্ধন সংশোধন ৩০০/৫০০’শ,নতুন নিবন্ধন ২০০/৩০০’শ বাংলা থেকে ইংরেজি ৩০০/৫০০’শ দ্রুত করার জন্য আরও ২০০’ বেশি। আদ্রা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজয় জানান – আমি আমার ৪ টা নিবন্ধন ৮ ‘ শ টাকা দিয়ে এক সপ্তাহ আগে করতে দিয়েছি। আজ আরও ৮’শ মোট (১৬০০) টাকার কথা বলেছে। এটা নাকি সচিবের নির্দেশ।
মুছা (২৮) নামে এক সেবা গ্রহীতা অভিযোগ করে বলেন- আমি একটা সংশোধনের কাজ এনেছিলাম উদ্যেক্তা রাসেল বিভিন্ন খরচের এবং সচিবের কথা বলে ১৫০০ টাকা চায়।আমি এতো টাকা দিতে অপারগ হলে আজ পর্যন্ত কাজটি হয়নি। সচিব ডানা ও রাসেল এর থেকে মুক্তি চাই। যে কোন কাজে তারা এত টাকা নেয় তা মনে হয় চেয়ারম্যান জানেনা। চৌকিদাররা সবাই জানে। রাসেল ও সচিব সাধারন মানুষদের কাছ থেকে টাকা খায়। এদের থেকে মুক্তি চাই
সরকারি রেট ১৫/৫০ টাকা থাকলেও উচ্চ হারে উত্তোলণকৃত টাকা ভাগাভাগি করেন সচিব জেরিন শায়লা ডানা ও উদ্যোক্তা রাসেল। সেবা গ্রহীতারা সচিবের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন পরিষদের বারান্দায় অপেক্ষায় থেকে গালা গালি করে চলে যায়। চেয়ারম্যানের সদ ইচ্ছা থাকলেই এই সচিবের কারণে সঠিক সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সচিব জেরিন জামান ডানা জানান- আমি ৯ টায় অফিসে আসার কথা থাকলেও আসতে ১০/১১ টা বেজে যায় আর কাজ কম থাকার জন্য ২টার মধ্য চলে যাই। আর আমার মাঠে কাজ করতে হয় বেশি।তবে আমি যেটুকু করি তা চেয়ারম্যান ও উপরের মহলে জানিয়েই করি। কিছু দিন আগে আমি ৭ দিনের ছুটি নিয়ে ১৫ দিন ছুটি ভোগ করেছিলাম। অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী জানান -যে সচিব অনেকদিন না এসেই কয়েক দিনের স্বাক্ষর দেয় আর আসলেও ১২ টার দিকে আসে ১/২ ঘন্টা পর বিভিন্ন অযুহাতে চলে যায়। সচিব ডানা ২০১৭ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। অত্র পরিষদে ৭/১০/২১ তারিখে পদায়ন হলেও খাতায় স্বাক্ষর শুরু করেন ২০ তারিখ থেকে (পেছনে ১৩ দিন সহ) ।চাকুরির বয়স ৪ বছরের মধ্যেই ৩/৪ বার বদলি হয় এই ডানা।কোন অফিসের ১ দেড় বছরের বেশি থাকতে পারেনা।প্রথমে বকশিঞ্জ পরে নাংলা ইউনিয়নে চাকুরি করেন। সব জায়গাতে খারাপ এসিআর নিয়ে অপমানিত হয়ে চলে আসতে হয়। যেখানে যান সেখানেই অর্থ কেলেঙ্কারি,কথাবার্তা, কাগজপত্র- হিসাব নিকাশ গড়মিল থাকার কারণে অডিট কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মেয়ে মানুষের দোহাই দিয়ে কোন মতো ম্যানেজ করেন।সদ্য বিদায়ি নাংলা ইউনিয়ন পরিষদে গেলেই তার অপকর্মের কথা ও প্রমাণ মিলবে।মেলান্দহ উপজেলায় কর্মরত
কয়েকজন সচিব বলেন- এখন তাও ডানা কয়েক ঘন্টা অফিস করেন আগে তো তাও করতো না। আসলে সে কাজই বুঝেনা।
সকল ফাইল পত্র বাড়ীতে বসেই করতো। সচিব ডানা’র নেতা কর্মী ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে প্রায় তার অফিসে বাক দন্ডের খবর পাওয়া যায়।
কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন- সচিবের রুম সবসময় বন্ধ থাকে।সচিবের রুমে আমরা কোন কাজ, পরার্মশ এবং কি একসাথে বসে চাও খেতে পারিনা কারণ সচিব তো আসেনা । আর আসলেও কয়েকঘন্টা তালা খোলা রাখেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শি জানান- সচিব কে যখনি দেখি তিনি ফেসবুক ও ইউটুব ব্যস্ত।
আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ফরহাদ বলেন- এই মহিলা সচিব নিয়ে খুব জামেলায় আছি। একেকদিন একেক অযুহাত আমাকে আগের সচিবরা থাকা কালে এতো পেরেশানিতে থাকতে হতো না। তার জন্য আমার উন্নয়ন কাজের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কঠোর হুশিয়ারি ও বিধিনিষেধ এবং নিবন্ধনের ফ্রি নির্ধারন করেদিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখলেও এরা তা তোয়াক্কা করছেনা। তাদের খুটির জোর কোথায়? এমন প্রশ্ন এখন সবার।
এই লাগামহীন অনিয়মের হাত হতে মুক্তির আাশা করছে এই ইউনিয়নের মানুষ। উধ্বর্তন কর্মকর্তার কাছে ইউনিয়ন বাসির আবেদন সচিবের এই সমস্থ অপকর্ম ও অনিয়মের সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক বিচারের মুখোমুখি করে সরকারের কর্মযজ্ঞ কে বেগবান করতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা সবার।